রাজনৈতিক কর্মসূচীতে জামায়াত’কে অনুমতি নিতে হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

বাংলা রিপোর্ট : জামায়াতে ইসলামী কোনো ধরনের কর্মসূচি পালন করতে চাইলে অবশ্যই পুলিশের অনুমতি নিতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। 

আজ ৩০ মে মঙ্গলবার রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সরকার বিরোধীদলের কোনো সভা-সমাবেশে বাধা দিচ্ছে। বিরোধীদলগুলো দেশে উত্তেজনা তৈরির লক্ষেই উসকানিমূলক পরিস্থিতি তৈরি করতে চাইছে।

সম্প্রতি কয়েকজন জামায়াতকে আটক ও ছেড়ে দেওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গোপন বৈঠক এবং সন্দেহজনক কার্যক্রমের একটি ভুল তথ্যের কারণে ডিএমপি সদর দপ্তরের কাছ থেকে জামায়াত নেতাদের আটক করে। পরে ছেড়ে দেয়ার ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে। 

কেরানীগঞ্জে বিএনপি-আওয়ামী লীগের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে বিএনপির সমাবেশে পুলিশ কেনো বাধা দেয়নি। তারপরও তারা সমাবেশে যাবার সময় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে উসকানিমূলক শ্লোগান দেয়ায় সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এসময় নিপুণ রায় চৌধুরীর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়।

এরআগে মিলনায়তনে দেওয়া বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের বাইরে সব ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে বিভিন্ন বিভিন্ন দলের মানুষ। সে ক্ষেত্রে আপনাদের একত্রে থাকতে হবে। আমরা যদি একত্রে না থাকতে পারি, তাহলে হয়তো আমরা বিপদগ্রস্ত হব। সমস্ত বাংলাদেশ আজ এক। বাংলাদেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে। বাংলাদেশে কোনো অন্যায় হতে দেব না। কোনো অবিচার হতে দেবো না, আমরা কোনো ষড়যন্ত্র হতে দেবো না।

আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন আমাকে ডেকে পাঠালেন, তখন আমি বিস্মিত হয়েছিলাম। তিনি আমাকে বলেছিলেন, তোমাকে মন্ত্রী বানানো হয়েছে, কারণ মুক্তিযুদ্ধে সম্মুখযোদ্ধা ছিলে, কাজেই তোমাকে বানানো হয়েছে। এটাই শেখ হাসিনা। তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের নিজের ভাইয়ের মতো মনে করেন। আর মুক্তিযোদ্ধাদের মনে করেন দেশের সম্পদ। কারণ তিনি মনে করেন, মুক্তিযোদ্ধারা আছেন বলেই দেশ আজ এগিয়ে চলছে। ৩০ মে ২০২৩.