বাংলা রিপোর্ট : টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৫০ রান করে সাকিবরা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ১৪৭ রান করতে সক্ষম হয় জিম্বাবুয়ে।
আজ ৩০ অক্টোবর রোববার বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টায় খেলা শুরু হয়। এতে ৩ রানে জয় পায় তাসকিনরা।
ম্যাচের শুরুতেই ব্রিসবেনের গ্যাবারে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়াতে চেয়েছিল তাসকিনরা। সে সময় উইকেট শুকনো উল্লেখ করে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন সাকিব।
ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। খেলা শুরু হতে না হতেই উইকেট হারালেন ওপেনার সৌম্য সরকার। সেই সঙ্গে ওপেনিংয়ে বরাবরের মতই দৈন্যদশার প্রদর্শনী দেখালো টাইগাররা। মাত্র দুটি বল মোকাবেলা করলেন সৌম্য। দ্বিতীয় বলেই ক্যাচ তুলে দিলেন রেগিস চাকাভার হাতে। এ সময় বাংলাদেশের রান ছিল ১০।
সৌম্য আউট হওয়ার পর জুটি গড়ার চেষ্টা করেন লিটন দাস এবং নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু খুব বড় হলো না এই জুটিটা। ২২ রানের জুটি গড়ার পর বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলেন তারা। ৬ষ্ঠ ওভারে বোলিংয়ে ফিরিয়ে আনা হয় মুজারাবানিকে। এসেই উইকেট তুলে নিলেন তিনি।
ওভারের তৃতীয় বলে তেন্দাই চাতারার হাতে লিটন দাসকে ক্যাচ তুলে দিতে বাধ্য করেন মুজারাবানি। ১২ বলে ১৪ রান করেন লিটন। তিনটি ছিল বাউন্ডারির মার।
লিটন দাস আউট হওয়ার পর সাকিব আল হাসান এবং নাজমুল হোসেন শান্ত- এই দুই বাঁ-হাতি মিলে বাংলাদেশকে বেশ ভালো অবস্থানে নিয়ে যাচ্ছিলেন। ৫০ প্লাস রানের জুটিও গড়ে ফেলেন তারা দু’জন।
প্রথম ১০ ওভারে বাংলাদেশের রান ছিলে ৬৩, শেষ ১০ ওভারে এলো ৮৭। ফলাফলে টাইগারদের সংগ্রহ দাঁড়ায় দেড়শ রান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে তাসকিন আহমেদ আর মুস্তাফিজুর রহমানের বোলিংয়ে জিম্বাবুয়ে আটকে যায় ১৪৭ রানে। শেষ ওভারে জিততে জিম্বাবুয়ের দরকার ছিল ১৬ রান। সাকিব বল তুলে দেন মোসাদ্দেক হোসেনের হাতে। অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিতে ভুল করলেন না তিনি! রোমাঞ্চ সঙ্গী করে মাঠ ছাড়ল টাইগাররা।
চলতি বিশ্বকাপে তিন ম্যাচ খেলে দুটি জয় নিয়ে সেমির পথে এগিয়ে গেলো টাইগাররা। অবশ্য সামনে কঠিন দুই প্রতিপক্ষ ভারত-পাকিস্তান।
জিম্বাবুয়ের সঙ্গে ২৫ বছর ধরে খেললেও মজার ব্যাপার হলো বিশ্বকাপে এবারই প্রথম দেখা বাংলাদেশের। আরো একটা প্রথম সঙ্গী হলো বাংলাদেশের। ব্রিসবেনের গ্যাবায় প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই হাসিমুখ। এবার অ্যাডিলেড মিশন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৫০/৭ (শান্ত ৭১, সৌম্য ০, লিটন ১৪, সাকিব ২৩, আফিফ ২৯, মোসাদ্দেক ৭, সোহান ১, ইয়াসির ১*; এনগারাভা ৪-০-২৪-২, মুজারাবানি ২-০-১৩-২, চাটারা ৩-০-১৮-০, রাজা ৪-০-৩৫-১, ইভান্স ৩-০-৩২-০, মাধেভেরে ২-০-১৮-০, উইলিয়ামস ২-০-১০-১)। ৩০ অক্টোবর ২০২২.